কৃষি বিপণন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও কৃষক বাজার পরিদর্শনে বিভাগীয় মন্ত্রী

7th August 2021 6:22 pm হুগলী
কৃষি বিপণন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও কৃষক বাজার পরিদর্শনে বিভাগীয় মন্ত্রী


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : চাঁপদানি বিধানসভার বৈদ্যবাটী এলাকায় কৃষি বিপনন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র  ও কৃষক বাজার  শনিবার দুপুর  পরিদর্শন করলেন রাজ্যের কৃষি বিপনন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। প্রথমে নেতাজী সুভাষ কৃষি বিপনন প্রশিক্ষন কেন্দ্র গিয়ে কি কি  প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে তা ক্ষতিয়ে দেখেন। কথা বলেন আধিকারিরদের সাথে।  কৃষক বাজারে ঘুরে কথা বলেন কৃষকদের সঙ্গে। কৃষকদের নানান অভিযোগের কথা শোনেন তিনি। কৃষি বিপনন প্রশিক্ষন কেন্দ্রের আধিকারিদের নিয়ে বৈঠক করেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন সরকারের প্রথম কাজ কৃষকরা  ফসলের নায্য দাম পাবে সে দিকে নজর দেওয়া । সাধারন মানুষও সঠিক দামে জিনিস কিনতে পারে সেই দিকটা দেখা হচ্ছে। বৃষ্টির ফলে কৃষদের জমি জলে নষ্ট হয়ে গেছে সেই দিকেও সরকারের নজর আছে। মন্ত্রীর অভিযোগ ডিবিসির জল ছারার কারনে বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এর জন্য প্রতিবাদ করেছেন। বিরোধীদের কাজ হল বিরোধিতা করা। রাজ্যে উন্নয়ন তাদের চোখে পরে না। আলুর দাম  যাতে কৃষকরা সঠিক পায় সেই দিকটাও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। যাতে প্রত্যেক বছর দাম বৃদ্ধি না হয়। পশ্চিমবঙ্গে আরো যাতে পেঁয়াজের চাষ বৃদ্ধি করা যায় সেই দিকটাও দেখা হচ্ছে।  সিঙ্গুরের আলুর আরতে যাওয়া হবে বলেও তিনি বলেন। পেট্রোল, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি ফলে নিত্যদিনের জিনিসের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে। এই ব্যাপারে কেন্দ্রসরকার কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আগামী দিনে আমাদের দপ্তরের আধিকারিকরা বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখবে সঠিক দামে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সঠিক নেওয়া হচ্ছে কিনা।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।